আধুনিক যুগের বাংলার কবি এবং তাদের সাহিত্যকর্ম
|
{cname}
সাহিত্যিকদের নামের উপর ক্লিক করুন
{name}
কবি পরিচিতি
{birth}
সাহিত্যকর্ম
{work}
|
» ১৮০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে বর্তমানকাল পর্যন্ত বাংলা সাহিত্যের আধুনিক যুগ। » উপমহাদেশে ইংরেজদের আগমনের সঙ্গে আধুনিক যুগ ওতপ্রোতভাবে জড়িত। » মুদ্রণের জন্য ছাপাখানা প্রতিষ্ঠিত হলে পাঠ্যপুস্তক, ধর্মগ্রন্থ, জ্ঞান-বিজ্ঞানর বই ইত্যাদি সহজেই মানুষের কাছে পৌঁছে যায়। » আধুনিক যুগকে পণ্ডিতগণ দুই পর্যায়ে ভাগ করেছেন। » ১৮০১ থেকে ১৮৬০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত প্রথম পর্যায় এবং ১৮৬০ থেকে বর্তমানকাল পর্যন্ত দ্বিতীয় পর্যায়।
» ভারতচন্দ্র রায় গুণাকর মধ্যযুগের সর্বশেষ কবি। ভারতের হাওড়া জেলার পেঁড়ো গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। » তিনি নবদ্বীপের মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রর সভাকবি ছিলেন। » মহারাজকে কবিতা রচনা করে শোনানোই ছিল তার প্রদান কাজ। » অন্নদামঙ্গল কাব্য রচনা করার জন্য মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র তাঁকে 'রায় গুণাকর' উপাধি প্রদান করেন। » তাঁকে নাগরিক কবি বলে অভিহিত করা হয়। » ভারতচন্দ্রের মধ্যমেই মধ্যযুগের পরিসমাপ্তি ঘটে এবং আধুনিক যুগের সূচনা হয় তাই তাঁকে যুগসন্ধিক্ষণের কবি বলা হয়। » ১৭৬০ সালে ভারতচন্দ্রের মৃত্যু হয়।
» আধুনিক যুগে বাংলা সাহিত্যে গদ্যরীতির প্রচলন ঘটে। সাহিত্যকর্মে মানবিকতা, ব্যক্তি সচেতনতা, সমাজবোধ, দেশপ্রেম বা জাতীয়তাবোধ, আত্মচেতনা ও আত্মপ্রসার, মৌলিকত্ব, নাগরিকতা, আঙ্গিকগত বৈচিত্র্য, মুক্তবুদ্ধি প্রভৃতি আধুনিক যুগের লক্ষণ। » বাংলা সাহিত্যের বিকাশে যে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভূমিকা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ সেগুলোর মধ্যে কলকাতার হিন্দু কলেজ (১৮১৭) এর নাম বিশেষ ভাবে স্মরণীয়। » হিন্দু কলেজের পাশ্চাত্য ভাবধারাপুষ্ট কিছু তরুণ 'ইয়ং বেঙ্গল' নামে পরিচিত। বাংলাদেশে এই 'ইয়ং বেঙ্গলের' মন্ত্রগুরু হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিও (১৮০৯-১৮৩১)। » তিনি ছিলেন একজন ফিরিঙ্গি। ইয়ং বেঙ্গলের অন্তর্ভুক্ত ডিরোজিও কয়েকজন শিষ্য হলেন তাঁরাচাঁদ চক্রবর্তী, কৃষ্ণমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়, দক্ষিণানন্দ মুখোপাধ্যায়, প্যারীচাঁদ মিত্র, রাধানাথ শিকদার, রামতনু লাহিড়ী, মাইকেল মধুসূদন দত্ত এবং দীনবন্ধু মিত্র প্রমুখ।
|
Copyright © Sabyasachi Bairagi
|